জীবনে সফল হতে হলে নিজের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখবে। কখনও হাল ছেড়ে দিওনা, কারণ একবার হাল ছেড়ে দিলে তুমি অার কখনো সে কাজে সফল হতে পারবে না। অার একটা কথা কোন কাজ একবার করতে না পারলে, বারং বার চেষ্টা করবে। একবার না পারিলে দেখ শত বার পারিব না এই কথাটি বলিও না অার

জিজ্ঞাসা-উত্তর 4 পর্ব

উক্ত উক্তির কারণে স্ত্রীরর ঈমান চলে গিয়েছে। সুতরাং এখন তার নতুন ভাবে ঈমান অানা জরুরী। অার তার ঈমান চলে যাওয়ার কারণে  তাদের স্বামী-স্ত্রী বৈবাহিক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে তারা বেগানার হুকুম হয়ে গিয়েছে।
তাই তার ঈমান অানয়ন পর তাদের নতুন ভাবে বিবাহ বন্ধনে অাবদ্ব হতে হবে অান্যতায় তাদের বিবাহ হালাল হবে না।
হাওয়ালা ফাতওয়ে শামী,  ৩:১০
বেহেশতি জেওর ১:৪০
ফাতওয়ে অালমগীরী ৩: ১৫৯

২/  লটারির মাধ্যমে অাইসত্রীম বিক্রি কর প্রসঙ্গে...

জিজ্ঞাসা:::::অামি লটারির মাধ্যমে লটারি বিত্রি করি.. অামার গাড়িতে বহু কোটা বিশিষ্ট গোল চরকা লাগানো অাছে। এর বিভিন্ন কোটায় এক থেকে তিনটি পর্যন্ত সংখ্যা লেখা অাছে? অাইসত্রীম মুল্য দুটাকা দু টাকার বিনিময়ে এক চরকা গুরাতে দেয়া হয়।  যে চিন্হিত সংখ্যায় চরকা থেমে যায়,  দু টাকার বিনিময়ে তাকে সে কটি অাইসত্রিম দেয়া হয়। কোন ক্রেতা অাইসত্রীম থেকে বঞ্চিত হননা। তবে সংখ্যায় কম বেশি হয়। এই পদ্ধতিতে অাইসক্রিম বিক্রি করা জায়েয হবে কি?
উত্তর :::: না, এই পদ্ধতিতে অাইসক্রিম ক্রয় বিক্রয় করা জায়েয হবে না। কেননা বেচা কিনা সহিহ হওয়ার জন্য প্রধান শর্ত হলো অাকদ তথা চুক্তির সময়ই ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের জানা থাকতে হবে যে,  বিক্রিত পণ্য কয়টি ও কি?
এখানে তা জানা যাচ্ছে না। কারণ,  বিক্রেতাকে দু টাকা দেওয়ার সময় ক্রেতা জানে না যে, তার ক্রয়কৃত অাইসক্রিম কয়টি চরকা কোথায় গিয়ে থামবে??
এক দু নাকি তিন সংখ্যায় গিয়ে থামবে তাছাড়া এ পদ্ধতির বেচা কিনা জুয়ার সাথে সমন্ঞ্জস্য পূর্ণ তাই পদ্ধতিতে ক্রয় বিক্রয় করা যাবে না...
হাওয়ালা: ফাতহুল কাদির, ৬:৫৫
তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম, ১:৩১৮
শরহে মাজল্লা, ৫:৮৮

৩/ সংগঠনে শামিল হওয়া প্রসঙ্গে....
জিজ্ঞাসা::::  বিভিন্ন ইসলামিক ছাত্র সংগঠনের লোকেরা এসে তাদের দলে সদস্য হওয়ার জন্য অামাকে অাহ্বান করে। অামি কার দলে যোগ দিব???

উত্তর:::: উল্লিখিত ক্ষেত্রে অামাদের পরামর্শ হলো দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতের সাথে পুরোপুরি লেগে থেকে দাওয়াতি কাজ করুন।
এতে একদিকে অাপনার নিজের অামল ঠিক থাকবে অন্য দিকে দাওয়াতি যিম্মাদার অাদায় হবে।
অার ইসলামি অান্দোলনের

Share:

জিজ্ঞাসা-উত্তর 3 পর্ব


   প্রশ্ন: অামার বিবাহ হয়েছে চার বচর হয়েছে হল। অামাদের হামীম নামে এক বছরের ছেলে অাছে। এখন প্রশ্ন হলো,  অামার স্বামী অামার প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে অামাদের যুুগল ছবি পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল। এখন অামাদের ছেলের ছবি ছাপাতে চাচ্ছেন।  ছেলের জম্ম বার্ষিকী ও অামাদের বিবাহ বার্ষিকী নিয়মিত পালন করতে চাচ্ছেন।  অামার স্বামী যা করছেন বা চাচ্ছেন,  তা করা যাবে কি না করলে পাপ হবে কিনা?

উত্তর: কারো জম্ম বার্ষিকী বা মৃত্যু বার্ষিকী কিংবা বিবাহ পালন কোন বিধান ইসলামে নেই..
বরং এগুলো বিধর্মী ও বিজাতীয় প্রথা।  তাই অাপনাদের বিবাহ বার্ষিকী বা অাপনার ছেলের জম্ম বার্ষিকী পালন কোনটা কার জায়েয হবে না। তা করলে বিধর্মীদের অনুকরণ যা গুনাহের কাজ অার এ উপলক্ষে প্রত্রিকায় অাপনাদের ছবি ছেলের ছবি ছাপানো ও যায়েজ হবে না।
তাই এ থেকে অাপনাদের সম্পূর্ণরুপে বিরত থাকা কর্তব্য।
[হাওয়াল : সুরাহ মায়িদাহ,  ৩/
মিশকাত শরিফ,  ৩৮৫
অাহসানুল ফাতওয়া, ১ : ৩৬২]</h6>

<h5>জিজ্ঞাসা: যারা প্রতি বছর দেশে  কুরবানি দিয়েছেন,  কিন্তু এবার তারা হজ্জে গিয়েছেন, কুরবানির সময় তারা মক্কায় থাকবেন। এ সময়ে দেশে ও কি তাদের নামে কুরবানি দিতে হবে?</h5>

<h6>উত্তর : শরিয়তের বিধান  মতে, একজন মুকিম ব্যক্তির সম্পদ পৃথিবীর যেকোন দেশে থাককু না কেন, তা নিসাব পরিমাণ হলে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব হবে। সুতরাং যারা হজ্জ্বে গিয়েছে তাদের ব্যাপারে মাসয়ালা হলো -তারা যদি সেখানে কুরবানিরর সময় মুুকিম হয় অর্থাৎ তারা যদি ওই সময়ে মক্কা অারাফাহ মিনা মুযদালিফাহ মিলিয়ে ১৫ দিন বা তার ছেয়ে বেশি দিন থাকার নিয়ত করেন, তাহলে তারা মুকিম। এ অবস্হায় তারা কিরান বা তামুত্তু হজ্জ্ব করলে, তাদের মোট দুটি কুরবানি দিতে হবে :
একটি হজ্জ্বের বিশেষ কুরবানি অপরটি নিজের সম্পদের কুরবানি। তারা ইচ্ছে করলে এ দুটি মক্কাতে করতে পারেন।
অথবা ইচ্ছে করলে হজ্বে কুরবানি মক্কাতে অার নিজের কুরবানি তিনি নিজ দেশে ও করতে পারেন। 
অার যারা মক্কা, অারাফাহ,  মিনা, মুযদালিফাহ সহ মোট ১৫ দিন কম থাকার নিয়ত করে। তারা মুসাফিরই থেকে যাবে। তাই কুরবানির সময় তার উপর কুরবানি ওয়াজিব নয়। তারা শুধু মক্কায় হজ্জ্বে কিরান বা তামত্তু করলে,  শুধু মক্কায় হজ্জ্বের দমে শোকর অাদায় করবেন।<h6>
[হাওয়ালা:ফাতাওয়া শামী,  ৬:৩১১
ফাতাওয়া অালম গীরী, ৫: ২৯১]

ঈদের নামাযের পূর্বে কুরবানি দেওয়া প্রসঙ্গে......

জিজ্ঞাসা : ঈদের নামাযের পূর্বে কুরবানি করা কি জায়েজ অাছে কি?
যদি কোন এলাকায়


প্রশ্ন: অামার বিবাহ হয়েছে চার বচর হয়েছে হল। অামাদের হামীম নামে এক বছরের ছেলে অাছে। এখন প্রশ্ন হলো,  অামার স্বামী অামার প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে অামাদের যুুগল ছবি পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল। এখন অামাদের ছেলের ছবি ছাপাতে চাচ্ছেন।  ছেলের জম্ম বার্ষিকী ও অামাদের বিবাহ বার্ষিকী নিয়মিত পালন করতে চাচ্ছেন।  অামার স্বামী যা করছেন বা চাচ্ছেন,  তা করা যাবে কি না করলে পাপ হবে কিনা?

উত্তর: কারো জম্ম বার্ষিকী বা মৃত্যু বার্ষিকী কিংবা বিবাহ পালন কোন বিধান ইসলামে নেই..
বরং এগুলো বিধর্মী ও বিজাতীয় প্রথা।  তাই অাপনাদের বিবাহ বার্ষিকী বা অাপনার ছেলের জম্ম বার্ষিকী পালন কোনটা কার জায়েয হবে না। তা করলে বিধর্মীদের অনুকরণ যা গুনাহের কাজ অার এ উপলক্ষে প্রত্রিকায় অাপনাদের ছবি ছেলের ছবি ছাপানো ও যায়েজ হবে না।
তাই এ থেকে অাপনাদের সম্পূর্ণরুপে বিরত থাকা কর্তব্য।
[হাওয়াল : সুরাহ মায়িদাহ,  ৩/
মিশকাত শরিফ,  ৩৮৫
অাহসানুল ফাতওয়া, ১ : ৩৬২]

   

Share:

জিজ্ঞাসা উত্তর 3nd পর্ব


    http://www.hamidnewblogsite.blogspot.com      

   প্রশ্ন: অামার বিবাহ হয়েছে চার বচর হয়েছে হল।
অামাদের হামীম নামে এক বছরের ছেলে অাছে। এখন প্রশ্ন হলো,  অামার স্বামী অামার প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে অামাদের যুুগল ছবি পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল।
এখন অামাদের ছেলের ছবি ছাপাতে চাচ্ছেন।  ছেলের জম্ম বার্ষিকী ও অামাদের বিবাহ বার্ষিকী নিয়মিত পালন করতে চাচ্ছেন।  অামার স্বামী যা করছেন বা চাচ্ছেন,  তা করা যাবে কি না করলে পাপ হবে কিনা?



উত্তর: কারো জম্ম বার্ষিকী বা মৃত্যু বার্ষিকী কিংবা বিবাহ পালন কোন বিধান ইসলামে নেই..
বরং এগুলো বিধর্মী ও বিজাতীয় প্রথা।  তাই অাপনাদের বিবাহ বার্ষিকী বা অাপনার ছেলের জম্ম বার্ষিকী পালন কোনটা কার জায়েয হবে না।
তা করলে বিধর্মীদের অনুকরণ যা গুনাহের কাজ অার এ উপলক্ষে প্রত্রিকায় অাপনাদের ছবি ছেলের ছবি ছাপানো ও যায়েজ হবে না।
তাই এ থেকে অাপনাদের সম্পূর্ণরুপে বিরত থাকা কর্তব্য।

[হাওয়াল : সুরাহ মায়িদাহ,  ৩/ মিশকাত শরিফ,  ৩৮৫ অাহসানুল ফাতওয়া, ১ : ৩৬২]
      hamidnewblogsite.blogspot.com       

Share:

জিজ্ঞাসা-উত্তর 2nd পর্ব

/ যানবাহন যোগে মসজিদে গমন প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন:  কোন ব্যক্তি মসজিদে নামায অাদায়ের উুদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে বা অন্য কোন যানবাহন ব্যবহারে মসজিদে করলে.  তিনি কি ঐ ব্যক্তির ন্যায় সাওয়াব পাবেন যে পায়ে হেটে মসজিদে যায়??

উত্তরঃ হাদিস শরিফে অাছে, যে জুমুু'অার নামাযের  ফযিলত বণর্নায় প্রতি কদমে এক বছরের নফল নামযের সওয়াব লাভের কথা এসেছে।  সেখানে হুতুওয়াহ শব্দটি এসেছে। এর অর্থ হলো পায়ে হেটে চলার ক্ষেত্রে প্রতিকদম।
সুতরাং যানবাহনে চলার ক্ষেত্রে যেহেতু পায়ের কদম হয়না, তাই যে ব্যক্তি মটর সাইকেল, অন্য কোন যানবাহনে চড়ে জুমু'অার নামাযের জন্য গমন করেছেন,  তিনি ঐ ব্যক্তির ন্যায় সওয়াব পাবেন না যিনি কষ্ট করে পায়ে হেটে মসজিদে গমন করল।
অার যেখানে কষ্ট বেশি হবে সেখানে সাওয়াব বেশি হনে এটাই স্বাভাবিক।
নেক কাজে গমনের সাধারন সওয়াব ও ফযিলত যানবাহন যোগে গমনকারীরা ও পাবেন..

[হাওয়াল : মিশকাত শরিফ,  ১১৯/ মিরকাত

/  ফরযে অাইব ইলম প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন : (ক) অামরা জানি ইলম দ্বীন শিক্ষা করা ফরযে অাইন।  জানতে চাই একজন  মুসলমানের মানুষের কতটুকু ইলম অর্জন করা ফরজ্ অাইন?

(খ) যদি কোন ব্যাক্তি ইলমে দ্বীন শিক্ষা না করে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়,  তাহলে কি পিতা মাতা গুনাগার হবে নাকি সন্তান??

***উত্তর::: (ক) একজন মুসলমানের সকল বিষয়ে দ্বীনের উপর এবং শরিয়ত মোতাবেক চলার জন্য যে পরিমাণ ইলম প্রয়োজন, ঐ পরিমাণ ইলম তার জন্য অর্জম করা ফরযে অাইন। যেমন- এলজন মুসলমান সর্বপ্রথম ঈমান অাকায়িদ সম্পর্কে পরে নামায রোযা এবং পাক-নাপাক সুরাহ কিয়ামাহ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন   করা ফরযে অাইন।  তেমনিভাবে বিবাহ করার প্রসঙ্গ এলে বিবাহ

সকল বিষয়ে

৬/ স্বামী একত্রে বাস না করে ইন্তেকাল করে স্ত্রীর মোহরের  হুকুম প্রসঙ্গে.....

জিজ্ঞাসা:::  জনৈক ব্যক্তির বিদেশে থাকবস্হয়  দুই লক্ষ টাকা  মহরের বিনিময়ে উকিলের মাধ্যমে দেশে বিবাহ হয়েছে। বিবাহের সময় কথা হয়েছিল - দু 'বছর পর ছেলে দেশে ফিরে ঘরে তুুলে নিবেন। সে পযর্ন্ত মেয়ে পিত্রালয়ে থাকবে।  কিন্তু কোন এক দূর্ঘটনার কারণে ছেলে এক বছর পর মারা যায়। তাই তাদের একত্রবাসও হয়নি।
উল্লিখিত অবস্হায় স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে স্ত্রীর মগরের ঐ টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে নাকি অর্ধেক পরিশোধ করতে হব??

উত্তর::: শরিয়তের দৃষ্টিতে দু'টি অবস্থায় স্ত্রীর মোহর পরিশোধ করতে হবে।
(এক) বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রী একান্ত বাস হলে
(দুই) একান্তবাসের অাগে স্বামী-স্ত্রীর কোন একজন মারা গেলে।
সুতরাং উল্লিখিত সুরতে বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রী
একত্রবাসের অাগেই যেহেতু স্বামী মারা গিয়াছে,
তাই নির্ধারিত মোহরের পুরো টাকাই স্ত্রীকে দিতে হবে।
[ হাওয়ালা : ফাতাওয়া অালমগীরি, ১:৩০৩/
ফাতাওয়া তাতারখানিয়া, ১:৩৬/
অাল বাদায়িস'উস সানায়ি, ২:৫৮৪]

ঈসালে ছাওয়াবের উদ্দেশ্যে শিন্নি করা  প্রসঙ্গে...

***জিজ্ঞাসা::: (ক) কোন মানুুষ মারা গেলে,  নির্দিষ্ট  বা অর্নিদিষ্ট তারিখে ছাওয়াবের উদ্দেশ্য গরিবদেরকে খাওয়ানো জায়েজ অাছে কিনা?
এ ব্যাপারে উত্তম সূরত কি???

(খ) কেউ মারা গেলে সে মৃত ব্যক্তির এবং তার ত্যাজ সম্পত্তির ব্যাপারে কি করণীয় বিস্তারিত জানতে চাই....

উত্তর::: (ক) কেউ মারা গেলে,  তার ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে তিন দিনা,  সাত দিনা,  চল্লিশা প্রভৃতি পালন করা নাজায়িজ বিদঅাত ।

এ ছাড়া অন্যকোন নির্দিষ্ট দিনে তার রুহে সওয়াব পৌছানোর নিয়তে গরিব, মিসকিন ও অভূক্তদের খাওয়ালে তা জায়িয হবে।

তবে এর জন্য শর্ত হলো-কোনরুপ সামাজিকতার রীতি পালন বা লোক দেখানো উদ্দেশ্য ছাড়া সম্পূর্ণ ইখলাসের সাথে ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে খানা খাওয়াতে হবে।
এবং এর সম্পূর্ণ ব্যয় স্বতঃস্ফূর্ত এক বা একাধিক ব্যক্তির পক্ষ হতে হবে। ইজমালি ত্যাজ সম্পদ থেকে করা যাবে না। 
অার যদি ত্যাজ সম্পদ থেকে করতে হয়,  তাহলে বালিগ ওয়ারিশের অাংশ থেকে তাদের সম্মতিতে হতে হবে। নাবালিগ অংশ থেকে হলে তা নাজায়িয।
[হাওয়ালা: সুরাহ অাল বাকারাহ, ১৮৮/
ফাতাওয়ে অালমগীরী, ৫:৩৪২/
ফাতায়ে শামী,৫:৩৬২]

Share:

জিজ্ঞাসা-উত্তর 1st পর্ব

অাসসালামু অালাইকুম  সবাই কেমন অাছ?
অালহামদুলিল্লাহ অাশা করি ভাল অাছেন সবাই।

ইনশাআল্লাহ অামি নিয়মিত ইসলামি প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে  লেখব। এ প্রশ্ন-উত্তর গুলো অামি বিভিন্ন ইসলামিক ম্যাগাজিন থেকে সংগ্রহ করে অাপনাদের সুুবিধাত্বে নিয়মিত লেখব ইনশাআল্লাহ। 
অাশা করি সবাই উৎসাহ দিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার সুযোগ দিবেন.

১/ মেয়েদের সাজগোজ করা প্রসঙ্গে
প্রশ্ন : সাজগোজ করা মেয়েদের একটা স্বভাবজাত বিষয় । অনেক অালেম বলেন মেয়েদের বেশি সাজগোজ করা এবং অন্যদেরকে দেখানোর উদ্দেশ্যে সাজগোজ করে ঘরে বাইরে যাওয়া উচিত না। অথচ সাজগোজ করে মানুষ অন্যকে দেখানোর উদ্দেশ্যেই।  তাই জানতে চাই,  এ ব্যাপারে শরিয়তের হুকুম কি?

উত্তর : ইসলামের দৃষ্টিতে, মেয়েদের সকল লক্ষ্য হতে হবে স্বামীর মন জয় কর এবং স্বামীকে নিজের প্রতি অাকৃষ্ট করা।  যাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালবাসার সেতু বন্ধন তৈরি হয়।  যেহেতু বিবাহের অাগে মেয়েদের স্বামী থাকেনা।  তাই বিবাহের অাগে মেয়েদের সাজগোজ অনথর্ক ও অর্থহীন।  অার একজন মুসলমানের অনর্থক কাজ করা কখনো সমীচীন নয়।
এর ফলে তার প্রতি কোন বেগানা পুরুষ অাকৃষ্ট  হয়,  এর দরুণ  তার যিনাহের গুনাহ হবে।
সুতরাং সাজগোজ করে মানুষ অন্যকে দেখানোর উদ্দেশ্যে এ ধারণাটি ঠিক নয় এটা কুরঅান হাদিস পরিপন্থি চিন্তাধারা বরং এ কারণে অনেক মেয়ের কপালে নেমে অাসে ধ্বংসের কালো ছায়া। তাই কোন অবস্থাতেই মেয়েদের সাজগোছ করে বাইরে বের হওয়া ঠিক না। কোন প্রয়োজনে বের হলে পর্দা করে বের হবে।
[হাওয়ালা : ফাতওয়া অালমগীরী, ৫: ৩২৭/
ফাতওয়ায়ে শামী, ৬: ৩৭১/
অাল বাগরুক রায়িক,  ৯: ৩৫১

/ টাখনুর নিচে পায়জাম প্যন্ট পরা  প্রসঙ্গে
প্রশ্ন : (ক)  অামাদের দেশে প্রায় লোকদের দেখা যায় টাখনুর নিচে প্যান্ট পরে.  টাখনুর নিচে প্যান্ট পায়জাম লুঙ্গী পরে যায়েজ অাছে কি?
(খ) মেয়েদের অনেক সময় দেখা যায় টাখনুর নিচে প্যান্ট পরে, এটা কি যায়েজ?

উত্তর : (ক)   পুরুষদের জন্য প্যান্ট পায়জামা জুব্বা লুুঙ্গি ইত্যাদি সব ধরনের পোশাক টাকনুর নিচে পড়া সম্পূর্ণ নাযায়েজ ও হারাম। পোশাক পরিচ্ছেদ যেন টাকনুর নিচে না হয় সেভাবে সেলাই করবে বা কিনবে। অার যদি টাকনুর নিচে হয় তাহলে কেটে ফেলবে অথবা মুড়িয়ে টাকনুর ওপরে পরবে। যতক্ষন পর্যন্ত টাকনুর নিচে কাপড় থাকবে ফেরাশতারা অনবরত গুনাহ লিখতে তাকবে।
(খ): হ্যাঁ,  মেয়েদের জন্য এটাই নিয়ম যে, তারা পায়জামা-শাড়ি টাকনুর নিচে পরিধান করে।  এটা তাদের পর্দার অন্তর্ভুক্ত বিষয়।
[হাওয়ালা: নাসায়ী শরিফ,  ২:২৫৪/
তাহরনী ,  ৮:২৩২/
ফাতহুল বারী, ১০:২৬৮
তাকমিলা ফতহুল মুলহিম, ৪:১২০] 

/ স্বামীর অজীবন জেল হলে স্ত্রীর করণীয় ..
প্রশ্ন: যদি কোন মহিলার স্বামী চিরজীবন কারাগারে দন্ডিত হয়,  অার তার যুবতি স্ত্রীর জীবন যাপন করার মত অর্থ কড়ি না থাকে,  তহলে উক্ত মহিলার করণীয় কি? তার অন্যত্র বিবাহ দেওয়ার কোন সুরত অাছে?

উত্তর: হ্যাঁ,  এর সহজ একটি সুরত হলো যে, কোন উপায়ে তিনি স্বামী থেকে তালাক নিয়ে নিবেন।  অতঃপর ইদ্দত পূর্ণ করবে,  অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে অাবদ্ধ হতে পারেন।
দ্বিতীয় অার একটি সুরত হলো যে, যদি বিবাহের কাবিন নামা  মাধ্যমে বা অন্য কোন সময় স্বামী  তাকে তালাক গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করে থাকেন,  তাহলে সেক্ষেত্রে তিনি তালাক গ্রহনের ক্ষমতা বলে নিজের উপর তালাক গ্রহণ করার দ্বারা  স্বামী থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারেন এরপর ইদ্দত শেষ হলে অন্যত্র বিবাহ বসতে পারেন।

/  স্বামীকে স্ত্রীর  ডির্ভোস দেয়া  এবং  অন্যত্র বিবাহ বসা প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন :  স্ত্রী  যদি স্বামীকে ডির্ভোস দেয়, তা কি কার্যকর হবে বা এর দ্বারা কি তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হবে?  যদি কোন স্ত্রী স্বামীকে ডির্ভোস অন্যত্র বিবাহ বসে,  তার হুকুম কি? বর্তমান সমাজে বিষয়টা অহর ঘটছে বিস্তারিত  জানতে চাই।
উত্তর:  ইসলামে ডির্ভোস বা তালাক প্রদানের ক্ষমতা একমাত্র স্বামীকে দিয়েছেন, স্ত্রীকে দেওয়া হয়নি। তাই স্ত্রী কোনক্রমে স্বামীকে তালাক বা ডির্ভোস দিতে পারবে না।  তারপরও যদি কোন স্ত্রী স্বামীকে তালাক বা ডির্ভোস  দেন সে ডির্ভোস কার্যকর হবে না। 
বরং তাদের  বিবাহ যথারীতি বহাল থাকবে।  এবং পূর্বের ন্যায় স্বামী-স্ত্রী থাকবেন...  (অনেক বিস্তারিত) 

সময় সংক্ষেপের কারণে  বলতে পারিনায়

Share:
Hamidnewblogsite.com. Powered by Blogger.

Labels

Recent Posts

Unordered List

Pages

Theme Support