অাসসালামু অালাইকুম সবাই কেমন অাছ?
অালহামদুলিল্লাহ অাশা করি ভাল অাছেন সবাই।
ইনশাআল্লাহ অামি নিয়মিত ইসলামি প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে লেখব। এ প্রশ্ন-উত্তর গুলো অামি বিভিন্ন ইসলামিক ম্যাগাজিন থেকে সংগ্রহ করে অাপনাদের সুুবিধাত্বে নিয়মিত লেখব ইনশাআল্লাহ।
অাশা করি সবাই উৎসাহ দিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার সুযোগ দিবেন.
১/ মেয়েদের সাজগোজ করা প্রসঙ্গে
প্রশ্ন : সাজগোজ করা মেয়েদের একটা স্বভাবজাত বিষয় । অনেক অালেম বলেন মেয়েদের বেশি সাজগোজ করা এবং অন্যদেরকে দেখানোর উদ্দেশ্যে সাজগোজ করে ঘরে বাইরে যাওয়া উচিত না। অথচ সাজগোজ করে মানুষ অন্যকে দেখানোর উদ্দেশ্যেই। তাই জানতে চাই, এ ব্যাপারে শরিয়তের হুকুম কি?
উত্তর : ইসলামের দৃষ্টিতে, মেয়েদের সকল লক্ষ্য হতে হবে স্বামীর মন জয় কর এবং স্বামীকে নিজের প্রতি অাকৃষ্ট করা। যাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালবাসার সেতু বন্ধন তৈরি হয়। যেহেতু বিবাহের অাগে মেয়েদের স্বামী থাকেনা। তাই বিবাহের অাগে মেয়েদের সাজগোজ অনথর্ক ও অর্থহীন। অার একজন মুসলমানের অনর্থক কাজ করা কখনো সমীচীন নয়।
এর ফলে তার প্রতি কোন বেগানা পুরুষ অাকৃষ্ট হয়, এর দরুণ তার যিনাহের গুনাহ হবে।
সুতরাং সাজগোজ করে মানুষ অন্যকে দেখানোর উদ্দেশ্যে এ ধারণাটি ঠিক নয় এটা কুরঅান হাদিস পরিপন্থি চিন্তাধারা বরং এ কারণে অনেক মেয়ের কপালে নেমে অাসে ধ্বংসের কালো ছায়া। তাই কোন অবস্থাতেই মেয়েদের সাজগোছ করে বাইরে বের হওয়া ঠিক না। কোন প্রয়োজনে বের হলে পর্দা করে বের হবে।
[হাওয়ালা : ফাতওয়া অালমগীরী, ৫: ৩২৭/
ফাতওয়ায়ে শামী, ৬: ৩৭১/
অাল বাগরুক রায়িক, ৯: ৩৫১
২/ টাখনুর নিচে পায়জাম প্যন্ট পরা প্রসঙ্গে
প্রশ্ন : (ক) অামাদের দেশে প্রায় লোকদের দেখা যায় টাখনুর নিচে প্যান্ট পরে. টাখনুর নিচে প্যান্ট পায়জাম লুঙ্গী পরে যায়েজ অাছে কি?
(খ) মেয়েদের অনেক সময় দেখা যায় টাখনুর নিচে প্যান্ট পরে, এটা কি যায়েজ?
উত্তর : (ক) পুরুষদের জন্য প্যান্ট পায়জামা জুব্বা লুুঙ্গি ইত্যাদি সব ধরনের পোশাক টাকনুর নিচে পড়া সম্পূর্ণ নাযায়েজ ও হারাম। পোশাক পরিচ্ছেদ যেন টাকনুর নিচে না হয় সেভাবে সেলাই করবে বা কিনবে। অার যদি টাকনুর নিচে হয় তাহলে কেটে ফেলবে অথবা মুড়িয়ে টাকনুর ওপরে পরবে। যতক্ষন পর্যন্ত টাকনুর নিচে কাপড় থাকবে ফেরাশতারা অনবরত গুনাহ লিখতে তাকবে।
(খ): হ্যাঁ, মেয়েদের জন্য এটাই নিয়ম যে, তারা পায়জামা-শাড়ি টাকনুর নিচে পরিধান করে। এটা তাদের পর্দার অন্তর্ভুক্ত বিষয়।
[হাওয়ালা: নাসায়ী শরিফ, ২:২৫৪/
তাহরনী , ৮:২৩২/
ফাতহুল বারী, ১০:২৬৮
তাকমিলা ফতহুল মুলহিম, ৪:১২০]
৩/ স্বামীর অজীবন জেল হলে স্ত্রীর করণীয় ..
প্রশ্ন: যদি কোন মহিলার স্বামী চিরজীবন কারাগারে দন্ডিত হয়, অার তার যুবতি স্ত্রীর জীবন যাপন করার মত অর্থ কড়ি না থাকে, তহলে উক্ত মহিলার করণীয় কি? তার অন্যত্র বিবাহ দেওয়ার কোন সুরত অাছে?
উত্তর: হ্যাঁ, এর সহজ একটি সুরত হলো যে, কোন উপায়ে তিনি স্বামী থেকে তালাক নিয়ে নিবেন। অতঃপর ইদ্দত পূর্ণ করবে, অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে অাবদ্ধ হতে পারেন।
দ্বিতীয় অার একটি সুরত হলো যে, যদি বিবাহের কাবিন নামা মাধ্যমে বা অন্য কোন সময় স্বামী তাকে তালাক গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে তিনি তালাক গ্রহনের ক্ষমতা বলে নিজের উপর তালাক গ্রহণ করার দ্বারা স্বামী থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারেন এরপর ইদ্দত শেষ হলে অন্যত্র বিবাহ বসতে পারেন।
৪/ স্বামীকে স্ত্রীর ডির্ভোস দেয়া এবং অন্যত্র বিবাহ বসা প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন : স্ত্রী যদি স্বামীকে ডির্ভোস দেয়, তা কি কার্যকর হবে বা এর দ্বারা কি তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হবে? যদি কোন স্ত্রী স্বামীকে ডির্ভোস অন্যত্র বিবাহ বসে, তার হুকুম কি? বর্তমান সমাজে বিষয়টা অহর ঘটছে বিস্তারিত জানতে চাই।
উত্তর: ইসলামে ডির্ভোস বা তালাক প্রদানের ক্ষমতা একমাত্র স্বামীকে দিয়েছেন, স্ত্রীকে দেওয়া হয়নি। তাই স্ত্রী কোনক্রমে স্বামীকে তালাক বা ডির্ভোস দিতে পারবে না। তারপরও যদি কোন স্ত্রী স্বামীকে তালাক বা ডির্ভোস দেন সে ডির্ভোস কার্যকর হবে না।
বরং তাদের বিবাহ যথারীতি বহাল থাকবে। এবং পূর্বের ন্যায় স্বামী-স্ত্রী থাকবেন... (অনেক বিস্তারিত)
সময় সংক্ষেপের কারণে বলতে পারিনায়
0 মন্তব্য(গুলি):
Post a Comment