জীবনে সফল হতে হলে নিজের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখবে। কখনও হাল ছেড়ে দিওনা, কারণ একবার হাল ছেড়ে দিলে তুমি অার কখনো সে কাজে সফল হতে পারবে না। অার একটা কথা কোন কাজ একবার করতে না পারলে, বারং বার চেষ্টা করবে। একবার না পারিলে দেখ শত বার পারিব না এই কথাটি বলিও না অার

কিভাবে নিজেকে অন্য মানুষের চোকে অাকর্ষণীয় করে তোলা যায়। ( ডেল কার্ণেগী)

ওয়ামাএ কয়েকদিন আগে নিউইয়র্কে গিয়েছিলাম। সেখানে এক নৈশভোজের অনুষ্ঠানে আমি নিমন্ত্রিত হয়েছিলাম। নিমন্ত্রিত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন মহিলা ও ছিলেন,
সেই মহিলাটি সম্প্রতি উওরাধিকার সূত্রে  প্রচুরসমপত্তির মালিক হয়েছিলেন।
নিজের প্রতি অন্যের আগ্রহ বাড়াবার জন্য তিনি হীরে জহরত, মণি-মণিক্যের মালা অঙ্গের সুসজ্জিত করেছিলেন,
সুন্দর পোশাকও পরেছিলেন,কিন্তু মুখের জন্য তিনি কোন পরিচর্যা  করেন নি।তার মুখমন্ডল থেকে তিক্ততা
এবং স্মার্থপরতার ভাব ব্যক্ত হচিছল যা খুবই বেমানান লাগছিল।প্রতিটি পুরুষের মনোভাব তিনি বোঝেন নি।
তাঁর কোন ধারনা ছিলনা যে,
জাঁকজমকপূর্ণ পোশাকের থেকে ও মেয়েদের মুখর ভাবটি দেহের সমগ্র সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে।

র্চালস শোয়ারের হাসির দাম তুলনা করা  হয় দশ লক্ষ ডলারের ও বেশি পরিমাণ অর্থের সঙ্গে।
শোয়ারের ব্যক্তিত্ব, আকর্ষণ তার অস্বাভাবিক উন্নতির মূলে ছিল। তার মধুর হাসির মধ্যে ছিল ব্যক্তিত্বের মাধুর্য।
মরিস শেভালিয়ার, তার গম্ভির অন্ধকার মুখ আমাকে বেশ হতাশ করত।
হাসলে তাকে বেশ সুন্দর দেখাত।
মনে হত যেন কালো অন্ধকার মেঘের মধ্যে দিয়ে সোনাঝরা রোধের হাসি।
তার এই হাসি না থাকলে বোধহয় তিনি প্যারীতে তার বাবা বা ভাইয়ের মত আসবাপত্র বানানোর কাজেই মত্ত থাকতেন।
প্রত্যেকটি মানুষের মনের ভাব প্রকাশ পায় তার কাজের মধ্যে দিয়ে। আর তার হাসির মধ্য দিয়ে জেগে ওঠে অন্যের প্রতি তার আগ্রহ বা অনুগত্য। জন্তু-জানোয়ারদর মধ্যে ও এই একই মনোভাব প্রকাশ পায়। আমাদের দেখে তাদের মনের আনন্দ ও আনুগত্য প্রকাশ পায় তাদের আচরণের মধ্যে দিয়ে। আমাদের মধ্যেও এই স্বাভাবিক আচরণটি প্রকাশ পেয়ে থাকে। কিন্তু লোকঠকানো কৃত্রিম যান্ত্রিক হাসি কতখানি গুরুত্ব পায়? কেউই বোধহয় এ ধরনের হাসি পছন্দ করেন না।অন্তরের সরল মাধুর্যপূর্ন হাসিই কেবল পারে বিশ্বভুবন জয় করতে। নিউইয়র্কের বিরাট এক দপ্তরের নিয়োজিত অধিককর্তা আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন- কোান ব্যক্তি কোন খালি পদ পূরণের জন্য কি ধরনের কর্মী চাইবে? দর্শনশাস্ত্রের কে্ন গম্ভীর পন্ডিতকে, নাকি বিদ্যালয়ের গন্ডী পেরোয়নি এমন কোন চমৎকার হাসিসম্পন্ন মেয়েকে? আমেরিকার রবার প্রতিষ্ঠানের ডাইরেক্টর বোর্ডের চেয়ারম্যান মন্তব্য করেছিলেন- নিজস্ব কাজে আনন্দ না পেলে কোন লোক তার কাজের উন্নতি ঘটাতে পারে না। প্রাচীন সেই তত্ত কথা কঠিন পরিশ্রম করলে যে কোন কাজে সফল হওয়া যায়- এতে তার বিশ্বাস য় না তিনি বলেন-আমি সাফল্যলাভজনিত মানুষকে জানি, যেহেতু প্রভূত আনন্দ পেতেন তাদের কাজে। পরে তারাই আবার ব্যর্থতায় পর্যবাসিত হলেন, কাজে একঘেঁয়েমি এসে যাবার দরুন,

Share:

0 মন্তব্য(গুলি):

Blog Archive

Hamidnewblogsite.com. Powered by Blogger.

Labels

Blog Archive

Recent Posts

Unordered List

Pages

Theme Support